Sunday 15 January 2017

পর্যটনঃ কিভাবে যাবেন সুন্দরবনে


এখন শীত মরশুমবেড়ানোর উপযুক্ত সময়দেশবিদেশ থেকে পর্যটকরা সুন্দরবনে বেড়াতে আসছেনকিন্তু কোথায় বেড়াবেন, কি ভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন সেই বিষয়ে পর্যটকের বিশেষ কিছু জান থাকে নাফলে কোনও কোনও সময় তাঁদের প্রতারিত হতে হয়ঐসব পর্যটকের গাইড করার জন্য আমরা খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি 


সুন্দরবনে প্রবেশ পথঃ ক্যানিং, সোনাখালি, গদখালি, ঝড়খালি, সন্দেশখালি, রামগঙ্গা, রায়দিঘি, নামখানা


বিমানঃ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস বিমান বন্দর (দমদম) বা কলকাতা-গদখালি ১১২ কিমিসড়ক পথে যেতে সময় লাগে ৩ ঘন্টাগদখালি থেকে লঞ্চ/ ভুটভুটিতে আরও ২ ঘন্টায় জঙ্গলের মধ্যে সুধন্যখালি/ সজনেখালি পর্যটন কেন্দ্র

 
রেল পথেঃ শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে ক্যানিং ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট {সুন্দরবনের প্রবেশ দ্বার}। 
ক্যানিং থেকে গদখালি সড়ক পথে  ৪৫ মিনিটকলকাতা-টাকি, 
কলকাতা-হাসনাবাদ, 
কলকাতা-নামখানা, 
কলকাতা-কাকদ্বীপ, 
কলকাত-তা-মথুরাপুর
কলকাতা- নামখানা (৩ ঘন্টা)



সড়কপথেঃ কলকাতা-ক্যানিং (৬৪ কিমি), 
কলকাতা-গদখালি ১১০ কিমি
ক্যানিং-ঝড়খালি (১ ঘন্টা)। 
কলকাতা- নামখানা (১০৫ কিমি),
 কলকাতা-রায়দিঘি (৭৬ কিমি)। 
কলকাতা-সন্দেশখালি (৩ ঘন্টা)। 
কলকাতা-ঝড়খালি (৩.৩০ মি),
কলকাতা-টাকি (৩ ঘন্টা), 
কলকাতা-ন্যাজাট (৩.৩০ মি)
কলকাতা-জামতলা (৩.৪৫ মি)। 
কলকাতা- কৈখালি (৩.৩৫ মি){সুন্দরবনের আবহাওয়া সাধারণত গরমশীতে ঠান্ডা, তাই সেপ্টেম্বর-মার্চ মাসে এখানকার জীবজন্তু অধ্যুষিত বনাঞ্চলে বেড়ানোর উপযুক্ত সময়}


শীতঃ (নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি)তাপমাত্রা ১০-৩৪ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডএই সময় বাঘ প্রায় বন থেকে গ্রামে চলে আসেনদীর চরে কুমির, গোসাপ, দৈত্যবক, (মদনটাক/ গরুড়) পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের দেখা মেলেপরিযায়ী পাখিদের সমাগম। 

গ্রীষ্মঃ (মার্চ-মে)তাপমাত্রা সর্বাধিক ৪২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডগরম কাটাতে জীবজন্তু প্রায় নদীর ধারে আসেনদী সাঁতরাতে দেখা যায়এই সময় জীবজন্তু দেখার প্রকৃত সময়বিদেশী পর্যটকরা এই সময় বেশী ভিড় জমায়বাঘ, হরিণদের প্রজনন সময়বনের ধারে তাদের প্রায় সঙ্গম করতে দেখা যায়


বর্ষাঃ  (জুন-সেপ্টেম্বর)তাপমাত্রা নাতিশীতোষ্ণবর্ষায় সুন্দরবনের চেহারা খুব সুন্দর, মনোরম


No comments:

Post a Comment