২০০৯ সালে আয়লা (প্রাকৃতিক দুর্যোগ) ঘটেছিল। বিশাল প্রভাব পড়েছে সুন্দরবনে। সাত বছর পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। সরকারি ভাবে আজও সুন্দরবন নিয়ে বিশেষ কোনও উন্নয়নমূলক পরিকল্পণা নেওয়া হয়নি। ভেঙে পড়েছে অর্থিক পরিকাঠামো। সেই কারণে যুব সম্প্রদায় সপরিবারে সুন্দরবন ছেড়ে শহরমুখী হয়েছেন বরাবরের জন্য। পড়ে থাকছেন বৃদ্ধ বাবা-মা ও পষ্যরা। বহু গরিব যুবক জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ভিন রাজ্যে চলে গিয়েছেন। আজও সুন্দরবন ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকে। ৫৫% মানুষ এলাকা ছেড়ে কলকাতা এবং শহরতলিতে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেছেন। সুন্দরবন ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। এলাকায় কৃষি-শিল্প গড়ে উঠেনি। পর্যটন ব্যবসাও সাফল্য পায়নি।
নারী পাচারের স্বর্গরাজ্যঃ দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে শিশু, নারী পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যাঁরা রয়ে যাচ্ছেন বেঁচে থাকতে তাঁরা মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া ধরতে জঙ্গলে চলে যাচ্ছেন। বেঘোরে প্রাণ দিচ্ছেন বাঘের মুখে গিয়ে। এক দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছেন নদী এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন। গ্রাম গুলির পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হলেও সুন্দরবনবাসীর দুঃখ ঘোচেনি।
No comments:
Post a Comment