সুন্দরবনের বিশেষত্ব
বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ব-দ্বীপ — বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ জঙ্গল — বিশ্বের একমাত্র সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলেই বাঘ রয়েছে — বিশ্বে বাঘের সর্বাধিক সংখ্যা বৃদ্ধির অরণ্য
— উচ্চ উৎপাদক বাস্তুতন্ত্র — প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ভূমি — ইউনেস্কো ১৯৮৭ সালে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ (বিশ্ব সম্পদ) স্বীকৃতি দেয় — ‘জীব পরিমন্ডল’ (ম্যান এন্ড বায়োস্ফিয়ার) ঘোষণা (২৯ মার্চ ১৯৮৭)}।
(ক) চলাচলঃ নদী, খাঁড়ি, খালবেষ্টিত এই ঘন অরণ্য অসংখ্য ছোট-বড় দ্বীপে ঘেরা। অত্যন্ত মনোরম। দেশী নৌকা, লঞ্চ, ট্রলার চলাচল করে। বন্যপ্রাণীদের প্রায় দেখা যায়।
(খ) জোয়ার ভাটাঃ এখানে নদীতে প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর জোয়া-ভাটা হয়। ম্যানগ্রোভ গাছের বন। বেশীরভাগ সময় নোনা জলে ডুবে থাকে। তাতেও গাছ মরে না। মাঝেমধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে।
(গ) গ্রাম দেবতার প্রচলনঃ বাঘ, কুমির, সাপের ভয়ে তাঁদের তুষ্ট করতে বিভিন্ন দ্বীপে আলাদা আলাদা কল্পিত গ্রাম দেবতা ও গাছের পুজো হয়। মেনে চলা হয় নানা রকম সংস্কার।
(ঘ) জীবনযাত্রাঃ সুন্দরবন সম্পর্কে বহু তথ্য আজও রহস্যাবৃত। অজানা রয়ে গিয়েছে। এই বনাঞ্চলের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, বন্যপ্রাণী, সংগ্রামী জীবনযাত্রা বিষয়ে জানতে আজও গবেষকরা অনুসন্ধান করে চলেছেন। তথ্য জানতে ও গবেষণা করতে দেশবিদেশের পর্যটকরা সারাবছরই সুন্দরবনে আসছেন।
(ঙ) পর্যটনঃ সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবস্থা। এই শিল্পের উপর নির্ভর করে বহু মানুষ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে বেঁচে রয়েছেন।
No comments:
Post a Comment