বেড়ানোর উপযুক্ত মরশুমঃ অক্টোবর থেকে মার্চ।
অবস্থানঃ বাংলাদেশের মোট আয়তনের ৩৮ শতাংশই সুন্দরবনে। বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা— এই তিনটি জেলা নিয়ে সুন্দরবন। পূর্ব দিকের বাগেরহাট, দক্ষিণে যশোর ও হরিণহাটা হয়ে ফকিরহাট, সাতগাঁ হয়ে খলিফাতাবাদ পর্যন্ত সুন্দরবন।
আয়তনঃ ৫,৮০০ বর্গকিমি। এরমধ্যে ৮, ৪১০০ বর্গকিমি স্থল এবং ১,৭০০ বর্গকিমি জলাভূমি।
উচ্চতাঃ সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৩ মিটার উচ্চতায় সুন্দরবনের অবস্থান।
জনবসতিঃ বাংলাদেশ সুন্দরবনে কোনও জনবসতি নেই। কেবল বন ও বন্যপ্রাণী।
নদ-নদীঃ এখানকার প্রদধান নদী হরিণহাটা, বালেশ্বর, শিবসা, কোবাদক, শেলা, বেতমোর, পশুর প্রধান এই বনাঞ্চলের ৪০ ভাগের মধ্যে রয়েছে ৪৫০ টি নদী ও খাল।
গাছ-গাছালিঃ সচরাচর প্রায় ২৬ টি প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছ চোখে পড়ে। সুন্দরী, গরাণ, গর্জন, কাঁকড়া, ধুঁদুল, পশুর, বাইন, কেওড়া, ওড়া, তোড়া, গেঁওয়া ছাড়াও আরও অনেক।
বন্য ও প্রাণীঃ বেঙ্গল টাইগার এখানকার প্রধান। এছাড়াও চিতল হরিণ, মায়া হরিণ, কুমির, অজগর সাপ, উদ বিড়াল অন্যতম প্রধান। রয়েছে ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ সরীসৃপ, ৮ প্রজাতির উওভচর, ৩২০ প্রজাতির আবাসিক ৫০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এবং ৪০০ প্রজাতির মাছ দেখা যায়।
প্রশাসনিক কাজঃ প্রশাসনিক কাজের জন্য সুন্দরবনকে শরণখোলা, চাঁদপাই, খুলনা ও সাতক্ষীরা এই চারটি রেঞ্জে ভাগ করা হয়েছে।
অভয়ারণ্যঃ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য তিনটি অভয়ারণ্য গঠন করা হয়েছে। এগুলি, সুন্দরবন পূর্ব অভয়ারণ্য, সুন্দরবন পশ্চিম অভয়ারণ্য, এবং সুন্দরবন দক্ষিণ অভয়ারণ্য। (এই তিনটি অভয়ারণ্যের ১.৪০০ বর্গকিমি এলাকাকে ইউনেস্কো ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭, ৭৯৮ তম বিশ্বঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করেছে)।
প্রধান পর্যটন কেন্দ্রঃ কটকা অভয়ারণ্য, কচিখালী অভয়ারণ্য, হারবাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, করমজল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, জামতলা সমুদ্র সৈকত, ডিমের চর, পক্ষীর চর, তিনকোনা দ্বীপ, কোকিলমনি, টিয়ার চর, দুবলার চর, নীলকমল (হিরণপয়েন্ট), শেখেরটেক মন্দির, কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, মান্দারবাড়িয়া পুটনিদ্বীপ, কালির চর, ঢাংমারী, লাউডুব, দোবেকী এবং শিবশা। মংলা থেকে ট্যুরিষ্ট বোট যোগে ভাড়া (১০০০/- — ১২০০/-) করমজল যাওয়া যায়। করমজল ভ্রমণে বন বিভাগের পূর্ব অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন নেই, তবে প্রবেশ কর মাথা পিছু ১০/- টাকা। করমজলে কুমির প্রজনন কেন্দ্র, হরিণ, বাঁদর দেখা যাবে। বনের গভীরে কটকা, কচিখালি, দুবলার চর, নীলকমল (হিরণপয়েন্ট) ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বন বিভাগের পূর্বানুমতি গ্রহণ ও সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করতে হয়। এই সব স্থানে লঞ্চ যোগে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কয়েকটি বেসরকারী ট্যুর অপারেটর বছরের নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যটকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ট্যুর করে থাকেন। ৩/৪ দিনের প্যাকেজ ট্যুরের জন্য মাথাপিছু ৪/৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়। এছাড়া এককভাবে লঞ্চ নিয়েও পর্যটকরা সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বেড়ানো বেশ ব্যয়বহুল। যারা প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা থাকে তাদের কয়েকটি — সিলভার ওয়েব ট্যুরস লি. {ঢাকা}
০২-৮৮৩৭৬৯৭/ www.silverwavetours.com। পাগমার্ক ট্যুরস এণ্ড ট্রাভেলস {খুলনা}
০৪১-৭৩১৫০৭/০১৭১৫১৬৭৭৪০/www.pugmarkbd.com/
e-mail: info@pugmarkbd.com।
No comments:
Post a Comment