সুন্দরবনে দেবতাদের আস্তানা-চাওয়া-পাওয়া
প্রাচীণকাল থেকেই পীর-পীরানী, গাজী-ফকিরদের অনেকেই ইরাণের আরাকান দেশে থেকে নদীপথে সুন্দরবনে এসেছেন। এবং নদী সংলগ্ন গ্রাম এলাকায় আস্তানা গেড়ে ছিলেন। অন্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েননি। বৈবাহিক সূত্রে মহিলারাও এই দেবতাদের মাহাত্ম অন্যত্র নিয়ে গিয়েছেন।
এই দেবতাদের বেশীর ভাগই ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন। তাঁদের অনেকেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। মানবসেবার কাজ করার কারণে তাঁরা দেবত্বের মর্যাদা পেয়ে গিয়েছেন। ব্যাধিমুক্তির আকাঙ্ক্ষায় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এঁদের পুজো-হাজোত দিয়ে থাকেন। এঁদের কেউ জঙ্গল রক্ষা, কেউ গ্রাম রক্ষা, কেউ মঙ্গল-অমঙ্গলের, কেউ আবার দুর্যোগ রক্ষাকারী, রোগ নিরাময়কারী, বাস্তু রক্ষা, শস্য রক্ষা ও শিশুদের ত্রাতা হিসাবে পুজো-হাজোত পাচ্ছেন। এঁদের অনেকেরই কল্পিত মূর্তি রয়েছে, কারোর প্রতীক পুজো হয়। পুজোর পর মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয় না।
প্রকৃতি নির্ভর মানুষজন বিপদমুক্তির জন্য নিজেরাই নিজেদের মতো করে দেবদেবী কল্পণা করে নিয়ে পুজো করে করেন। এখানকার যাবতীয় পার্থিব সব-ই দেবদেবী-গাজী-পীর-পীরানী-পয়গম্বর-দরবেশদের উপর ভিত্তি করে। ভারত এবং বাংলাদেশের সুন্দরবনের অসংখ্য দ্বীপে মানুষের বাস। ধর্ম আলাদা হলেও অসম্ভব মিল। আজও মিলেমিশে পুজো-হাজোত চড়াচ্ছেন।
এই দেবতাদের বেশীর ভাগই ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন। তাঁদের অনেকেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। মানবসেবার কাজ করার কারণে তাঁরা দেবত্বের মর্যাদা পেয়ে গিয়েছেন। ব্যাধিমুক্তির আকাঙ্ক্ষায় হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এঁদের পুজো-হাজোত দিয়ে থাকেন। এঁদের কেউ জঙ্গল রক্ষা, কেউ গ্রাম রক্ষা, কেউ মঙ্গল-অমঙ্গলের, কেউ আবার দুর্যোগ রক্ষাকারী, রোগ নিরাময়কারী, বাস্তু রক্ষা, শস্য রক্ষা ও শিশুদের ত্রাতা হিসাবে পুজো-হাজোত পাচ্ছেন। এঁদের অনেকেরই কল্পিত মূর্তি রয়েছে, কারোর প্রতীক পুজো হয়। পুজোর পর মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয় না।
প্রকৃতি পুজো। |
প্রকৃতি নির্ভর মানুষজন বিপদমুক্তির জন্য নিজেরাই নিজেদের মতো করে দেবদেবী কল্পণা করে নিয়ে পুজো করে করেন। এখানকার যাবতীয় পার্থিব সব-ই দেবদেবী-গাজী-পীর-পীরানী-পয়গম্বর-দরবেশদের উপর ভিত্তি করে। ভারত এবং বাংলাদেশের সুন্দরবনের অসংখ্য দ্বীপে মানুষের বাস। ধর্ম আলাদা হলেও অসম্ভব মিল। আজও মিলেমিশে পুজো-হাজোত চড়াচ্ছেন।
টুসু পুজো। |
(১) সুন্দরবনে ৬৬ টি দেবদেবীর পুজোর প্রচলন রয়েছেন। লক্ষী, অলক্ষী, রক্ষাকালী, শনি সুন্দরবনের দেবতা না হলেও সমস্যা জর্জরিত সুন্দরবনবাসীর মধ্যে এই পুজোর প্রভাব রয়েছে। {ইদানিং শনির ভক্তের সংখ্যা প্রচুর বেড়েছে। বহিরাগত হলেও সন্তোষী পুজোয়ও হচ্ছে}।
(২) মূর্তি গড়া হয়, গোবর, চালের গুঁড়ো, মাটি দিয়ে। করে মহিলা, কুমোর বা মৃত শিল্পীরা।
(৩) এই গ্রামীণ দেবদেবী-পীর-ফকিরদের পুজোর ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকাই বেশী।
(৪) পুজোর কোনও দিনক্ষণ নেই {মার্চ-এপ্রিল মাস জুড়ে হয়}। পুরোহিত লাগে না। মন্ত্র নেই।
(৬) দেবতাদের পুজার্ঘ্য- পোড়া শোল মাছ, রান্নাকরা খাসির রান্না করা মাংস, মদ, গাঁজা, সিদ্ধি, তাড়ি (বাসি খেজুরের রস) {দক্ষিণরায়, বামনগাজীর নৈবেদ্য}।
(৭) এই দেবতাদের পুজো হয় বাড়ির বাইরে ফাঁকা জায়গায়। গাছেরতলায়{পঞ্চানন্দ, পঞ্চানন, আটেশ্বর, শনি}। ইদানিং কোথাও কোথাও মন্দির দেখা যায়।
(৮) কোনও দেবদেবীকে পুজোর মাধ্যমে শ্রদ্ধা, কাউকে অসম্মান করা হয়{ঘন্টাকর্ণ, অলক্ষীকে}।
(৯) সংবাদ আদানপ্রদান করার জন্য বনের কোনও না কোনও প্রাণীকে দেবতারা বাহন হিসাবে ব্যবহার করেছেন {বাঘ, কুমির, মুরগী, সাপ, গোসাপ, পেঁচা, পায়রা, ঘোড়া, গাধা, বিড়াল, হাঁস।
(১০) দ্বীপ গুলিতে আলাদা আলাদা দেবতার পুজো হয়। সমস্যার উপর ভিত্তি করে দেবতাদের নির্বাচন।
(১০) দ্বীপ গুলিতে আলাদা আলাদা দেবতার পুজো হয়। সমস্যার উপর ভিত্তি করে দেবতাদের নির্বাচন।
No comments:
Post a Comment