ঝিঙেখালি পর্যটন কেন্দ্রঃ এটিও বাংলাদেশের গা ঘেঁষে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকার মধ্যে। বন দফতরের বসিরহাট রেঞ্জের অধীন এই পর্যটন কেন্দ্র। পাশেই উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ কালিতলা গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কুঁড়েখালি নদী।
বিট অফিসিকে ঘিরে ঘড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার, বনবিবির মন্দির।
বিশেষ আকর্ষণঃ এখানে কেওড়া গাছের বনে প্রচুর বাদুড় ঝুলতে দেখা যায়। গ্রামে তাড়া খেয়ে এই বনে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
বাঘের ডেরাঃ এই বন থেকে বাঘ নদী সাঁতরে প্রায় গ্রামে আসে। বাঘ দেখার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগঃ গোসাপ, শুয়োর,
বাঁদর,
ফটকা (পায়েড কিংফিসার) |
মাছরাঙা,
মরাল (হুইস্টিং টিল) |
শঙ্খচিল, বাজপাখি, গেছো বোড়া সাপ দেখতে পাওয়া যায়।
দৈত্যবক (গোলিয়থ হেরন) |
ভোঁদড়ের দল ডুবে ডুবে মাছ ধরে।
ভোঁদড় |
দপাখিদের প্রজননঃ জুন-জুলাই মাসে পাখিরা প্রজননের জন্য হেঁতাল বনে বাসা বাঁধে। চোরাশিকার বন্ধ করতে বন দফতর বিশেষ প্রহরা বসায়।
সুন্দরবনে চলছে মধু সংগ্রহ |
মধুও সংগ্রহঃ প্রতি বছর এপ্রিল মাসে মধু সংগ্রহ হয়। বন দফতরের অনুমতি নিয়ে গ্রামবাসী ও মধু সংগ্রহকারীরা মধু আনতে বনে যান। তাদের সঙ্গে থাকলে কাছ থেকে দৃশ্য দেখা যায়।
সুন্দরবনে চলছে মধু সংগ্রহ |